মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

টুথব্রাশের ইতিহাস

ছবি গুগল থেকে
দ্বিতীয়বার দাঁত পড়ে গেলে বা ফেলে দিলে আর উঠবে না এই ব্যপারটা আমি কোনদিন মেনে নিতে পারিনি। আফসোস। তাই অনেকের মতো দাঁত বাঁচনর চেষ্টা করি বা করতে হয়।

এই দাঁতের মূল্য মানুষ হাজার হাজার বছর আগে থেকেই বুঝতে শুরু করে। সে জন্যেই ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় হাজার-হাজার বছর আগে যাখন টুথব্রাশ আবিষ্কার হয়নি তখন দাঁত পরিষ্কার করতে মানুষ নানান ধরণের খিলাল, গাছের ডাল, মাছের কাঁটা ইত্যাদি ব্যবহার করেছে।
প্রথম গাছের ডাল ব্যবহার করতে দেখা যায় বেবিলনে, যীশু খ্রিষ্টের জন্মের ৩৫০০ বছর আগে। পশুর লোম দিয়ে প্রথম আধুনিক ব্রাশ বানায় চিন। সেও হাজার-বারশ বছর আগের কথা। তারপর ধীরে ধীরে জাপান ও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়াতে থাকে আর এর মানোন্নয়ন হতে থাকে। যানা যায় নেপোলিয়ন নাকি ঘোড়ার লোমের তৈরি টুথব্রাশ ব্যবহার করতেন। প্রথম যে বইটিতে টুথব্রাশ ব্যবহারের কথার উল্লেখ পাওয়া যায় সেটি হলো ব্রিটিশ পুরাতত্ত্ববিদ Anthony Wood এর আত্মজীবনীত (প্রকাশ কাল - ১৬৯০ ইং)। টুথপেস্টের ব্যবহার এসেছে আরও পরে।


একটা ঘটনা বলি, একবার আশরাফ আলী থানবী (র.) এর কাছে এসে এক লোক বলল - আমরা যখন জন্মাই তখন আমাদের মুখে দাড়ি থাকে না তাই আমার মতে ওগুলো রাখার প্রয়োজন নেই, কেটে ফেলা উচিৎ।

উত্তরে থানবী (র.) বলেন - আমরা মুখে দাঁত নিয়েও জন্মাই না তাহলে তো ওগুলোও ফেলে দেওয়া উচিৎ।
একটি দাঁত বিষয়ক জোকসঃ
এক লোক দাঁত তুলবে, গেছে ডাক্তারের কাছে। কিন্তু ভুল করে ঢুকে গেছে পাইলসের ডাক্তারের চেম্বারে।
ডাক্তার - উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন।
রোগী - এতো লম্বা রাস্তা দিয়ে দাঁত তুলবেন?

টিপসঃ মাসে অন্তত একবার টুথব্রাশ ভালমতো গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করা উচিৎ অথবা পরিবর্তন করা উচিৎ। তুলনামূলকভাবে নরম ব্রাশই দাঁতের জন্য ভালো।

শুভ ব্রাশিং :)


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন