বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মিশ্রণ - ৪

১) "সন্ত" উপাধি দেওয়া হলো মাদার টেরেসাকে; আপনার কি জানা আছে তিনি ঠিক কি ধরণের সমাজ ব্যবস্থা চাইতেন? এ প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য, দরিদ্রের সেবার চাইতে দারিদ্রের কারণগুলোকে নির্মূল করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ

২) যে পনেরটি বাংলা (কলকাতার) সিনেমা আপনার অবশ্যই দেখা উচিৎ। লিস্টটা আমি করলে অবশ্য আরও বড় হতো।

৩) অ্যাজটেক সভ্যতার চেয়েও অক্সফোর্ড বেশি পুরোনো, বিশ্বাস হচ্ছে না?

৪)
 ঈদের ছুটিতে নেট সংযোগের বাইরে ছিলাম তাই স্টকের সিনেমা দেখে কাটিয়ে দিলাম। মহেঞ্জোদারো সিনেমাটি দেখা হয়েছে কি? হলে ভালো না হলে দেখে নেবেন। মহেঞ্জোদারো সম্পর্কে তথ্য পাবেন এখানেসিন্ধু সভ্যতার বৃহত্তম নগরী এটি। সিনেমাটিতে যেমন স্নানাগার দেখেছেন তেমন একটি মহাস্নানাগার সত্যিই ওখানে ছিল, এর রহস্যময়তা সম্পর্কে জানুন এখানে

সিন্ধু সভ্যতার খবর এখানে পাবেনসিন্ধু আর হরপ্পায় গুলাচ্ছেন নাতো? অবক্ষয়ের ফলে এই সভ্যতাটি পতনের দিকে যাচ্ছিল কিন্তু চূড়ান্ত পতন ঘটে আর্য-আক্রমণের ফলে। এবার যদি আপনার সিন্ধু আর বৈদিক সভ্যতা নিয়ে জানতে ইচ্ছে করে তাহলে এই পুরো অধ্যায়টি পড়ে ফেলতে পারেন।  

৫)
ঈদুল আযহায় ঢাকা

৬) মার্গারিটা মামুন সম্পর্কে এদেশের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশের মতামত! 

৭) হিংস্র সিনেমা - গেম, উত্তেজক গান, যুদ্ধ জয়ের খবর ইত্যাদির ভেতর দিয়ে আমরা কোন দিকে যাচ্ছি? 

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

টিভি সিরিয়াল

কলকাতার সিরিয়াল নিয়ে অনেক লেখালেখি দেখেছি ফেসবুকে, এখনো মাঝে মাঝে চোখে পরে, পত্রপত্রিকায় দেখেছি বহুবার, অনেককে এবিষয়ে কথা বলতে শুনেছি। সবাই মোটামুটি একমত – এসব বন্ধ করা উচিৎ; কারণ এগুলো সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। বেশ, বন্ধ করা যেতেই পারে। কিন্তু এগুলোর পরিবর্তে আমরা এদেশের বিশাল সংখ্যক টিভি সিরিয়ালের দর্শককে কি দেবো?

কলকাতার সিরিয়ালের দর্শক মূলত এদেশের মেয়ে এবং মহিলারা। পুরুষের তুলনায় তাদের পৃথিবী ছোট। একজন পুরুষের সুযোগ আছে যে কোন সময় বাইরে থেকে ঘুরে আসার, আড্ডা দিয়ে আসার অথবা বনোদিত হওয়ার কিন্তু নারীর তা নেই। নারীদের জন্যে আমাদের সমাজে অনেক নিয়ম-কানুন। তাই বলে কি তাদের বিনোদন থেকে বঞ্চিত করে রাখা যাবে? বিনোদন তো তাদের অধিকার। সম্ভবত এদেশের নারীদের সিংহভাগেরই বিনোদন হিসেবে প্রথম পছন্দ টিভি সিরিয়াল।

কলকাতার সিরিয়াল বন্ধ করে দেওয়া কোন কঠিন ব্যপার নয়। শুধু নির্দিষ্ট চ্যানেলগুলোর আমদানি বন্ধ করে দিলেই হোল। পরিবর্তে কি দেওয়া হবে? এদেশে তৈরি করা নাটক? আমাদের নাটকগুলো সাধারন দুই ধরণের – হয় আমি আর তুমি কেন্দ্রিক পেঁনপেঁনে প্রেম নাহয় রগরগে ভাঁড়ামি। এগুলোও কি মানসম্পন্ন? ভালো নাটক যে হচ্ছে না তা নয় কিন্তু সংখ্যায় কম।

বোম্বাই সংস্কৃতির প্রভাবে প্রভাবিত কলকাতার সিরিয়ালগুলোকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কথা বলে বন্ধ করা যতটা জরুরী তার থেকেও বেশি জরুরী ভালো মানের নাটক এদেশে তৈরি করা।    

বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

রসের খোঁজে

আমি কষালো। তাই একটা রম্য বই খুঁজছিলাম, খুঁজতে খুঁজতে শেষমেশ হাঁপিয়ে উঠলাম। শহরের কোথাও জুতসই একটা রম্যের বই পাওয়া গেলো না। রম্যের বই নেই, পত্রিকায় রম্যের লেখা নেই যা আছে তার অধিকাংশই যাতা, টিভিতে রম্যের নামে ভাঁড়ামির ছড়াছড়ি। সব মিলিয়ে রসবোধ প্রায় উঠে যাবার যোগাড়। রসের নামে যা বিকচ্ছে তার অধিকাংশই রগরগে।

একটু রসের জন্যে আমি হাপিত্তেশ করে মরছি। চাকরির নামে মাসমজুরি করছি, আড্ডা দেই ফ্রাস্টেশনের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে, বেঁচে থাকার জন্য খাই, শরীর ক্লান্ত হলে ঘুমাতে যাই। ব্যস এই হচ্ছে আমার জীবন। যাতে শুধু কষ আর কষ। কষালো জীবন! তাই কিছুটা রসালো করতেই রম্যের খোঁজ।

আমার মতোই জীবনের স্বাদ না পেয়ে এক কাঠুরে একবার কাঠ কাটতে কাটতে হঠাৎ আনমনে বলে উঠলো - 'যমরাজ কি আমায় চোখে দেখে না'। তার কিছুক্ষণ পর যখন সে তার কাঠগুলো মাথায় করে নিয়ে বাড়ীর দিকে রওনা হচ্ছে হঠাৎ যমরাজ এসে হাজির। 'আমি তোমার প্রাণ নিতে এসেছি' - যমরাজ বলল। কাঠুরে ভয় পেয়ে গেলেও বুদ্ধির সাথে প্রশ্ন করল - 'কেন'। যমরাজ অবাক! 'তুমিই তো কিছুক্ষণ আগে বললে যে আমি তোমায় চোখে দেখি না'। কাঠুরে জবাব দিলো - 'হ্যাঁ বলেছিলাম, কিন্তু তা তো আমার প্রাণ নেওয়ার জন্য নয়, ভারি কাঠগুলো বাড়ী পর্যন্ত দিয়ে আসার জন্য'।  

কে মরতে চায় এই অস্বর্গ-অনরক পৃথিবীতে, তাইতো রসের খোঁজ।