রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

আওয়ামী ওলামা লীগ ও সমমনাদের দাবিনামা

জাতীয় প্রেসক্লাব বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন (১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ )
১। জামাত জোটের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে দেশকে রক্ষার লক্ষ্যে হরতাল বিরোধী আইন প্রণয়ন করা,
২। সব যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার করে অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করা,
৩। শুধু নিবন্ধন বাতিল নয় অবিলম্বে জামাত শিবিরসহ সকল ধর্মব্যবসায়ী দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা,
৪। মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্নকারী বোরকা ও পর্দা বিরোধী শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা ও পর্দার উপর আঘাতকারী যেকোন পদক্ষেপ নিষিদ্ধ করা,
৫। ৯৭ ভাগ মুসলমান ও তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর হিন্দুদের পূজা চাপিয়ে দেয়া বন্ধ করা,
৬। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নামে আনুপাতিক হারে প্রশাসনেও সরকারের সর্বত্র মুসলমানদের বঞ্চিতকরণ বন্ধ করা,
৭। ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে হিন্দু তোষণ বন্ধ করা
৮। দুর্গা ও মন্দিরের ছবিযুক্ত জাতীয় পাসপোর্ট বাতিল এবং
৯। বাংলাভিশনসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও ফেসবুকে মুসলিম-অমুসলিম নারী-পুরুষের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ার আহবানে নাটক, ভিডিও তৈরী ও প্রচারকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে

স্থানঃ, ঢাকা।
তারিখঃ ১৫-০২-২০১৪, শনিবার, সময়-বেলা ১১.০০ মি:

জামাত জোটের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে দেশকে রক্ষার লক্ষ্যে হরতাল বিরোধী আইন প্রণয়ন করা, সব যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার করে অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করা, শুধু নিবন্ধন বাতিল নয় অবিলম্বে জামাত শিবিরসহ সকল ধর্মব্যবসায়ী দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা, মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্নকারী বোরকা ও পর্দা বিরোধী শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা ও পর্দার উপর আঘাতকারী যেকোন পদক্ষেপ নিষিদ্ধ করা, ৯৭ ভাগ মুসলমান ও তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর হিন্দুদের পূজা চাপিয়ে দেয়া বন্ধ করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নামে আনুপাতিক হারে প্রশাসনেও সরকারের সর্বত্র মুসলমানদের বঞ্চিতকরণ বন্ধ করা, ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে হিন্দু তোষণ বন্ধ করা, দুর্গা ও মন্দিরের ছবিযুক্ত জাতীয় পাসপোর্ট বাতিল এবং বাংলাভিশনসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও ফেসবুকে মুসলিম-অমুসলিম নারী-পুরুষের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ার আহবানে নাটক, ভিডিও তৈরী ও প্রচারকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিশাল মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশন, বাংলাদেশ ফিৎনা প্রতিরোধ কমিটি, জাতীয় ওলামা পরিষদ, কেন্দ্রীয় আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত, হাক্কানী আলেম সমাজ, ইমাম মোয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ পরিষদসহ সমমনা ৯টি ইসলামিক দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বক্তারা বলেন, যে পর্দাকে সম্মান করার কারণে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নিজে সব সময় ফুলহাতা পাঞ্জাবী পরিধান করেছেন, যে পর্দাকে সম্মান করার কারণে ও জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ফুলহাতা জামা পরিধান করেন, নারীটিজিং বন্ধে আইন প্রণয়ন করেন, প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন, সে খাছ পর্দা তথা বোরকার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের এদেশীয় ঘৃণ্য এজেন্টরা বোরকার তথা পর্দার বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
আজকে অতি দুঃখজনক হলেও সত্য যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, রাজউক কলেজের অধ্যক্ষ, ঢাবি, রাবি, জবি ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু মুসলমান নামধারী শিক্ষক হাইকোর্টের কথিত বিচারকের ভূমিকায় কিছু মুসলমান নামধারী, মুসলমানের মৌলিক ধর্মীয় অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করছে। নিরুৎসাহিত করছে। বেপর্দাকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। (নাঊযুবিল্লাহ!)
বক্তারা বলেন, সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্ন করে, পর্দার উপর আঘাত করে বোরকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খুরশিদা, ঢাকার উদয়ন স্কুলের শিক্ষিকা মাহবুবা কল্পনা, চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা, মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মুশতারী, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম সরকার, সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেয়াজুল ইসলাম এবং পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান লায়ন নজরুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
সর্বশেষ গত ২৭ জানুয়ারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খুরশিদা বোরকা পরিধানকারী ছাত্রীদের সে মৌলবাদী, জামায়াত, জঙ্গি, কোটরের মুরগি, অসামাজিক ইত্যাদি বলে গালাগাল করে ক্লাস থেকে বের করে দেয়। তাছাড়া বোরকা পরিধানের কারণে ছাত্রীদের ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করে সে।
বক্তারা বলেন, ভারতে সংখ্যালঘু শিখরা সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের সবস্তরে যদি পাগড়ি পরতে পারে তাহলে ৯৭ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে বোরকা পরতে বাধা কেন?
বক্তারা বলেন, ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশে পর্দার উপর আঘাতকারী কোন পদক্ষেপ বরদাশত করা হবে না এবং মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্নকারী বোরকা ও পর্দা বিরোধী সব শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
* বক্তারা আরো বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে আমাদেরকে এভাবে দোয়া করতে বলেছেন, “হে আমাদের রব! আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।” নিশ্চয়ই সমস্ত জ্ঞানের মালিক হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক এবং এটাই সব মুসলমানদের আক্বীদা।
কিন্তু সম্প্রতি একটি সাম্প্রদায়িক হিন্দু মহল প্রচার করছে সবার জ্ঞানের মালিক নাকি তাদের কথিত ‘সরস্বতী দেবী’ (নাউযুবিল্লাহ) তাই তারা প্রকাশ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কথিত ‘সরস্বতী পূজা’ উদযাপনের উস্কানিমূলক দাবি তুলেছে। তাছাড়া মুর্তি পূজাকে “ধর্ম যার যার উৎসব সবার” নাম দিয়ে মুসলমানদেরও পূজা করার আহবান করছে এবং চাঁদাও চাইছে এ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী । যা সব মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাতের শামিল। যে কারণে এবার সারাদেশে হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারা পূজার আয়োজন করেছে। শুধু নীলফামারী জেলায়ই তারা ৪০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজার আয়োজন করেছে।
বক্তারা বলেন, এ সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠী শুধু সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নয় বরং তারা এখন ইসলামী ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলোতেও পূজা অর্চনা করা শুরু করেছে। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, কুষ্ঠিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ডিমলা ইসলামীয়া ডিগ্রি কলেজসহ আরো অনেক ইসলামী প্রতিষ্ঠানে তারা পূজা শুরু করেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে কিছু দিনপর তারা মসজিদ-মাদরাসায়ও পূজা শুরু করতে চাইবে। যা চরম উস্কানীমূলক ও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল।
বক্তারা বলেন, হিন্দুরা তাদের মন্দিরে পূজা করতে পারে কিন্তু তাই বলে তাদেরকে মুসলমানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজা করবে কেন?
বক্তারা বলেন, হিন্দুদের মন্দিরে বা প্রতিষ্ঠানে মুসলমানদের তো নামায-কালাম বা ইসলামী অনুষ্ঠান করতে দেয়না। বরং নামায-কালাম তো দূরের কথা তাদের বাসাবাড়ীতে কোন মুসলমান প্রবেশ করলে তাকে অচ্যুত, অস্পৃশ্য মনে করে গোচনা দ্বারা তাদের বাসাবাড়ী পবিত্র করে। তাছাড়া তারা তো মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্টান যেমন শবেবরাত, শবে ক্বদর, রোযা, ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেনা তাহলে মুসলমানরা হিন্দুদের ধর্মীয় পূজায় অনুষ্টান দূর্গা পূজা, স্বরস্বতী পূজায় অংশগ্রহণ করবে কেন?
সুতরাং ৯৭ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর সরকারকে অবিলম্বে মুসলমানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেকোন বিধর্মীদের পূজা বন্ধ করা এবং কথিত উৎসবের মোড়কে মুসলমানদের পূজা করার আহবান জানানো নিষিদ্ধ করতে হবে।
* বক্তারা আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনিক নিয়োগে ব্যাপক হারে হিন্দু তোষণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে মুসলমান দেশে মুসলমানদের প্রতি ব্যাপক বৈষম্য হচ্ছে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে পুলিশের এসআই পদে নিয়োগে ১৫২০ জনের মধ্যে হিন্দু নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৩৩৪ জন যা মোটের ২১.৯৭ শতাংশ।
২০১১ সালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইতে নিয়োগের ৯৩ জনের মধ্যে হিন্দু নিয়োগ করা হয়েছে ২৩ জন। যা মোটের ২৪.৭৩ শতাংশ।
সম্প্রতি ৬ষ্ঠ ব্যাচে সহকারি জজ পদে নিয়োগ দেয়া ১২৪ জনকে। এর মধ্যে ২২ জনই হিন্দু। শতকরা হিসেবে ১৭ শতাংশ।
এছাড়া গত ৫ই নভেম্বর, ২০১৩ তারিখের সরকারী তথ্য মতে প্রশাসনে বর্তমানে হিন্দু কর্মকর্তা রয়েছে সচিব পদ মর্যাদায় ৩ জন, অতিরিক্ত সচিব ৩৪ জন, যুগ্ন সচিব ১৩১ জন, উপ সচিব ১২৫ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব ৫৪ জন, সহকারী সচিব ৯৬ জন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ৪ জন, উপবিভাগীয় কমিশনার ৫জন, অতিরিক্ত উপবিভাগীয় কমিশনার ১০ জন, উপজেলা নির্বাহি অফিসার ১৫ জন।
অথচ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ার পরও মুসলমানরা সেখানে সরকারী চাকুরীতে ব্যাপক বৈষম্যের শিকার। যেমন পুলিশের চাকুরীতে মুসলমানরা পশ্চিমবঙ্গে আছে ৭.৩২%, আসামে ১০.৯৫%, বিহারে ৫.৯৪%, কেরালায় ১২.৯৬%, কর্নাটকে ৬.৭১%, গুজরাটে ৫.৯৪%, মহারাষ্ট্রে ৪.৭১%, উত্তর প্রদেশে ৪.২৪%, তামিল নাড়–তে ০.১১%। তাছাড়া উত্তর প্রদেশে সম্প্রতি নিয়োগ দেয়া ৭০ জন জজের মধ্যে একজনও মুসলমান নেই।
বক্তারা বলেন, ২-৩ ভাগ হিন্দুদের জন্য প্রায় ২০-২৫ ভাগ সরকারী চাকুরী দেয়া বাকী ৯৭ ভাগ মুসলমানদের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক। প্রশাসনে ব্যাপক হারে হিন্দু নিয়োগ মুসলমান দেশে মুসলমানদের বিপরীতে হিন্দুদের প্রধান্য দেয়া এবং হিন্দু তোষণেরই নামান্তর। মুসলমানদের প্রতি এ বৈষম্য অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
* বক্তারা আরো বলেন, বাংলা নিউজ ২৪ ডটকমসহ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় বাংলাদেশের জাতীয় পাসপোর্টে হিন্দুদের মুর্তি ও মন্দিরের ছবি সংযুক্ত করার ছবি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে হাজারো মুসলিম স্থাপত্যসহ ওলী-আউলিয়াদের স্মৃতি সমৃদ্ধ দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেখানে মুসলিম দেশের পাসপোর্টে হিন্দুদের মুর্তি বা মন্দিরের ছবি সংযুক্ত করা কখনো গ্রহণেযোগ্য নয়। এটা মুসলিম অধ্যুষিত এদেশের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।
বক্তারা বলেন, হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আমি মুর্তি এবং বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করার জন্য প্রেরিত হয়েছি।” তাই মুসলমান দেশের পাসপোর্টে কোন মুর্তি বা মন্দিরের ছবি থাকতে পারেনা। যেখানে মক্কা শরীফ ও মদিনা শরীফে বিধর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ সেখানে দুর্গা ও মন্দিরের ছবিযুক্ত জাতীয় পাসপোর্ট নিয়ে হাজী সাহেবরা হজ্জ করবেন কিভাবে? তাই অবিলম্বে মুর্তি ও মন্দিরের ছবিযুক্ত এসব জাতীয় পাসপোর্ট বাতিল করতে হবে।
* বক্তারা আরো বলেন, জামাত-জোটের হরতালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে ৫২টি হরতালে সামষ্টিক অর্থনীতিতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি। বিএনপি-জামাতের ধ্বংসাত্মক এ হরতালে প্রাণহানি হয়েছে ১২০ জনেরও বেশি। এফবিসিসিআইয়ের হিসাবে এক দিনের হরতালে ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা এবং ডিসিসিআইয়ের হিসাবে এই ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। প্রকৃতপক্ষে এক দিনের সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা। তাই অবিলম্বে জামাত জোটের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে দেশকে রক্ষার লক্ষ্যে অবিলম্বে হরতাল বিরোধী আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং হরতাল আহবানকারীদের থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে।
* কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, কাদের মোল্লার মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করে আত্মতৃপ্তিতে থাকলে হবেনা বরং বাকী সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শেষ করে এদেরও অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। কারণ এরা মুক্তিযোদ্ধের সময় এরা লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের শহীদ করেছে। শহীদ হওয়া এসব লক্ষ লক্ষ মুসলমানরা তাদের মাফ না করলে কোন আদালতই তাদের ক্ষমা করতে পারেনা।
* বক্তারা বলেন, জামাতীদের মুখোশ ফাঁস করে সরকারকে এখন বলতে হবে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে বোমা হামলার কারিগর, সন্ত্রাসবাদের জনক, ৭১-এর রাজাকার জামাতীরা কোন ইসলামিক দল নয় এমনকি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলও নয়। বরং তারা শতভাগই একটি সন্ত্রাসবাদী দল। জামাতীদের শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচারের আওতায় বা নিবন্ধন বাতিল করলেই চলবে না বরং সন্ত্রাসবাদ তৈরী, সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা, সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদে সম্পৃক্ততার ও এদেশে সন্ত্রাসবাদ আমদানীর কারণে গোটা জামাত-শিবিরকেই সন্ত্রাস দমন আইনে এনে তাদের সব গডফাদার ও সহযোগীদের বিচার করা।
* বক্তারা আরো বলেন, এদেশে নাস্তিক শফিক রেহমানের আমদানীকৃত কথিত ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে অপসংস্কৃতিতে আমাদের দেশ সয়লাব করে দেয়া হচ্ছে। সুপরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। এতে ইন্ধন যোগাচ্ছে বাংলাভিশনসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও ফেসবুক। এ বেহায়াপনার দিবসকে কেন্দ্র করে বাংলাভিশনসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও ফেসবুকে মুসলিমরা অমুসলিমদের সাথে আবার অমুসলিমরা মুসলিম নারী-পুরুষদের সাথে অবাধ মেলামেশা গড়তে উৎসাহ প্রদান করে নাটক-মিউজিক ভিডিও তৈরী করে প্রচার করছে। এতে মুসলিম ছেলের মাথায় দেয়া হয়েছে প্রতিকী টুপি আর হিন্দু মেয়ে দেবতার অর্চনা করছে। পূজা শেষে দুজনের পরিচয় অত:পর ভালবাসার সম্পর্ক থেকে অনৈতিক সর্ম্পক। যার মূল প্রতিপাদ্য হলো মুসলিম নারীপুরুষের সাথে অমুসলিম নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশা ও অবৈধ সম্পর্ককে উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে এই বেহায়া অপসংস্কৃতির প্রচারক বাংলাভিশনসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও ফেসবুকে প্রচারকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনের সভাপতি মুফতী মাওলানা মুহম্মদ ইলিয়াছ বিন হেলালীর অনুপস্থিতিতে ও সম্মতিক্রমে সভাপতিত্ব করেন- লায়ন আলহাজ্ব মাওলানা আবু বকর ছিদ্দীক (সহ সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ), বক্তব্য রাখেন- কাজী মাওলানা মুহাম্মাদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ), অনুষ্টান পরিচালনা করেন, হাফেয মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুস সাত্তার (সহ সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ), মাও: মো: মুজিবুর রহমান চিশতি (প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ) হাফিজ মাওলানা মুহাম্মাদ মোস্তফা চৌধুরী, বাগেরহাটের হুজুর (সহ সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ), মাও: মো: শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী (দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ), আলহাজ্জ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জাব্বার (সভাপতি-বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদ), আলহাজ্জ হাবীবুল্লাহ রূপগঞ্জী (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী ওলামা লীগ), মাওলানা মুহম্মদ ওয়াসিউদ্দীন নূরানী, ক্বারী মাওলানা মুহম্মদ আসাদুজ্জামান, হাফিজ মাওলানা মুহম্মদ জাকির হুসাইন, কারী মোঃ কাউছার আহমেদ (সানী) খান, ক্বারী মুহম্মদ সোলায়মান হোসেন, মাওলানা মুফতী মুহম্মদ শোয়াইব, মাওলানা মুহাম্মদ ফজর আলী মোল্লা, মোঃ জাকারিয়া খান, মোঃ আওলাদ হোসেন, হাজী মো: আলমসহ আরো অনেক জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে একাত্মতা, সমর্থনজ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ ওলামা লীগের অপর গ্রুপ সভাপতি, পীরজাদা পীর, মুক্তিযোদ্ধা বীর, আলহাজ্ব, কারী, মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বোখারী দাঃ বাঃ আলীয়া। তিনি অসুস্থ থাকার কারণে অনুষ্ঠানে স্বশরীরে হাজির থাকতে পারেননি।

(১) বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ (২) জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশন বাংলাদেশ (৩) বাংলাদেশ ফিৎনা প্রতিরোধ কমিটি (৪) আওয়ামী ওলামা পরিষদ, (৫) জাতীয় ওলামা পরিষদ (৬) সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ (৭) কেন্দ্রীয় আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত (৮) ইমাম মোয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ (৯) বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতিসহ সমমনা

৯ দলের পক্ষে
মাওলানা মুহাম্মাদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ওলামা লীগ।
মোবাইল: ০১৮১৯-২৭৯৪৭৫।

সূত্রঃ আল-ইহসান