মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭

ছুটিবিহীন জীবন

এক ভদ্রলোক তার স্ট্যাটাসে লিখেছে, অনেকদিন ছুটি নেয় না, প্রায় দু’বছর। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয় না, আত্মীয়দের বাসায় যায় না। শুধু অফিস টু বাসা, বাসা টু অফিস। আর এটা নাকি তার স্ত্রীর উৎসাহেই হয়েছে। লেখাটা পরে মনে হল না তিনি এই ব্যপারটায় অখুশি। তবে এখানে আমার একটা দ্বিমত আছে।

তোরাহ’তে আছে মসী (মুসা আঃ) যখন দেখলেন যে হিব্রু দাশ জাতির জীবনে ছুটি বলতে কিছু নেই তখন তিনি শনিবার কে হিব্রুদের ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেন। দিনটিকে হিব্রুতে সাব্বাত বলা হয়। সহজ করে বলা যায় ‘মসীর দিন’। এটিকেই বলা চলে অফিসিয়ালি ছুটির প্রথম ঘোষণা। যাইহোক, মসী বুঝতে পেরেছিলেন যে সপ্তাহে এক দিন ছুটি না পেলে জীবনের সাভাবিক ছন্দ বা গতি কোনটাই থাকে না।

একই কারনে আমিও ছুটি না নেওয়াটাকে অপছন্দ করি। অবশ্য কিছু প্রতিষ্ঠান মালিকের কাছে ছুটি না নেওয়াটা একটা আইকনিক ব্যপার রীতিমত। সম্ভবত এক-দু’বছর আগে এক প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক পুরষ্কার পান এই কারনে যে তিনি তার সার্ভিস লাইফে একদিনও ছুটি নেননি। আমার হিসেবে লোকটিকে পুরষ্কার না দিয়ে তিরস্কার করা উচিৎ ছিল। কারন তিনি রীতিমত অসামাজিক একজন লোক। ‘ছুটি নেননি’ এই ব্যপারটা থেকে এটা পরিষ্কার যে তিনি নানান ধরণের দাওয়াত এমনকি শেষকৃত্তের অনুষ্ঠানেও ঠিকমত যোগ দেননি। কারন কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে, পুরো অনুষ্ঠানে ঠিকমত অংশ নিয়ে শেষ করলে এক দিন তো নিশ্চিত ভাবেই লাগবে। কিন্তু তিনি তা নেননি। তাই তাকে সহজ ভাষায় অসামাজিক বলাই যায়।

সেই শিক্ষক লোকটির উদাহরণ দিয়েছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক। উনার এহেন অসামাজিকতা ভালো লাগার কারন আছে বৈকি!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন