মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০১৬

মিশ্রণ - ১

১) খারাপ খবরটাই আজকাল খবরে পরিনত হয়েছে। যাদের কাছ থেকে আশ্বাস পাচ্ছি তাদের বেশিরভাগের উপরেই আমাদের বিশ্বাস নেই। দেশে নির্ভরযোগ্য মিডিয়া নেই বললেই চলে, নির্ভরতার জন্য আমাদের ঘাটতে হচ্ছে বাইরের মিডিয়াগুলো। নিয়মিত আতঙ্কিত এই পৃথিবীতে তবুও আমরা আশায় বুক বাঁধি। তাই নিচিকেতার সাথে সুর মেলাতে চাই...

যাইহোক আমাদের জীবন থেমে থাকবে না কোনোমতেই। শোক সুখ নিয়েই জীবন, জীবনকে বয়ে নিয়ে চলাই জীবন।

২) আমার এক মামা আছেন যিনি বেশ সাহসি আর রাগি। সাবাই তাকে বেশ সমঝে চলে। সবকিছুতেই তার একটা ডেমকেয়ার অবস্থান আছে শুধু বজ্রপাত ছাড়া, বজ্রপাত হলেই তিনি কেমন বদলে যান। দিশেহারা হয়ে যান, দৌড়ে ঘরের মধ্যে চলে এসে গুটিসুটি মেরে বসে থাকেন। আমার অবস্থা তার থেকে কিছুতা ভালো। আমি দিশেহারা হই না তবে ভয় লাগে খুব। তাই অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম এই বিষয়ে কিছু পড়াশোনা করবো, আজ সুযোগ পেয়ে করে ফেললাম।

বজ্রপাত কি এবং এর কারন জানতে এই লেখাটি পড়ুন অথবা এটি অথবা এটি আর বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় জানতে এই লেখাটি পড়ুন। আপনার কি কোন ধারনা আছে এই মুহূর্তে পৃথিবীর কোথায় কোথায় বজ্রপাত হচ্ছে, আমার ধারনা আপনার জানা নেই; জানতে হলে এই ওয়েবসাইটটি দেখুন
খুঁজতে খুঁজতে আরও একটা জিনিস পেয়ে গেলাম, কি করে Cloud Light বানাবেন...

৩) আমি অনেকটা নিজের অজান্তেই বাংলা অনুবাদের দুনিয়ায় প্রবেশ করেফেলি, সেবা প্রকাশনীর পাঠক হিসেবে। অনুবাদের এই দুনিয়ার সাথে আমার পরিচয় না হলে আমার জীবনটা হতো আরও খানিকটা বৈচিত্র্যহীন, কল্পনাগুলো হতো আরও অনেক রংহীন। এতো বললাম বাংলা অনুবাদের কথা, এবার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড অনুবাদের কথায় আসি। আচ্ছা আপনার কি কোন ধারনা আছে যে আজ অব্দি পৃথিবীতে কাদের লেখা বেশি অনুবাদ করা হয়েছে।না জানা থাকলে জেনে নিন এখান থেকে

অনুবাদের বিষয়টা না থাকলে পৃথিবী সম্পর্কে জানার জায়গাটা আরও অনেক সীমিত হয়ে যেত আমার মত আরও অনেকের। তাই অনুবাদের মাধ্যমে জানার পৃথিবীটাকে প্রসারিত করে দেওয়ায় পৃথিবীর সকল অনুবাদককে শ্রদ্ধা জানাই। 

৪) ভেজ-ননভেজের (আমিষ-নিরামিষ) কথা উঠলেই অনেকে ভারতকে একটা উদাহরণ হিসেবে টেনে নিয়ে আসেন। এবং এতা বুঝানোর চেষ্টা করেন যে ভারতের বেশিরভাগ মানুষই ভেজিটেরিয়ান যদিও বাস্তবতা ভিন্ন। সম্প্রতি The Huffington Post এবিষয়ে একটা আর্টিকেল প্রকাশ করেছে। নিচের ছবিটি উক্ত আর্টিকেল থেকেই নেওয়া হয়েছে... 

৫) একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব কাছেই আমার বাসা। যারফলে প্রচুর মেস আমার বাসার আশেপাশে। সবসময় মানুষ গমগম করে এলাকায়, অথচ ঈদের ছুটিতে? একেবারে উল্টো, খারাপই লাগে খাঁ খাঁ করা পরিবেশে। গতকাল তাই এই নিয়ে দুকলম কাব্যি করে ফেললাম -
আছি 
বহু মেসবাড়ির কাছাকাছি 
থরে থরে ঘর তাতে 
থরে থরে বাতি 
বিদ্যুৎ আছে তবুও 
লোডশেডিঙেই আছি!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন