ওরা

ওদের দুজনকে দেখলেই বুঝা যায়, মেড ফর ইচ আদার। হাত ধরাধরি করে সিঁড়ি দিয়ে উপড়ে উঠে আসছে। ফিসফিস করে কি যেন বলছে আর হেঁসে হেঁসে এ ওর গায়ে গিয়ে পরছে।

এই সন্ধ্যেবেলা একজোড়া যুবক যুবতী এমনি এমনি তো আর আসেনি এখানে। কিইবা করার আছে ওদের। এসব তো আর যেখানে সেখানে করার উপাই নেই। অগত্যা এই নির্মাণাধীন বিল্ডিংটাকেই বেঁছে নিতে হলো।

আকাশে পূর্ণিমা কিন্তু এখানে, এই বিল্ডিঙে কোন আলো নেই। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, একটা বিশাল কাল অবয়ব দাঁড়িয়ে আছে। একটা বহুতল বাড়ির কঙ্কাল। ওদের অবশ্য এসব ভাবার সময় নেই। ইচ্ছেটা ওদের মধ্যে এখন খুব প্রগার।

ওরা যায়গা খুঁজছে। রুমগুলো এখনো তৈরি হয়নি। শুধু দেয়াল উঠেছে, না আছে জানালা, না আছে দরজা। একটা ঘর দেখে ওরা এগিয়ে গেল। হুম... এই ঘরটাই। পারফেক্ট। একদম পারফেক্ট দেখতে। যেমন শুনেছিলো ঠিক তেমনি।

ছেলেটা দেখতে বেশ নাদুসনুদুস, ফর্সা; টোকা দিলে যেন রক্ত জমে যাবে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে মেঝেতে। গোঙাচ্ছে। ওরা দুজন এগিয়ে গেল ছেলেটার দিকে, তারপর মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলো পরস্পর। মুচকি হাসল দুজনে।

দুজনের মুখের দুপাশ থেকে বেড়িয়ে এলো লম্বা দুটো দাঁত। ঝাঁপিয়ে পড়লো ওরা ছেলেটির উপর...


Comments

Popular posts from this blog

সরস্বতী কথন

সাগরে আলাপ

কে